বেনাপোল বন্দর

বিএসএফের বাধায় কার্গো টার্মিনাল নির্মাণকাজ বন্ধ

Passenger Voice    |    ১২:০৫ পিএম, ২০২৪-০২-০৫


বিএসএফের বাধায় কার্গো টার্মিনাল নির্মাণকাজ বন্ধ

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হুমকিতে ১১ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে বেনাপোল বন্দরের নির্মাণাধীন কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনালের একাংশের কাজ। বন্দরসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, হঠাৎ করে বিএসএফ বাধা দেওয়ার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এবং নকশা অনুযায়ী কাজ শেষ করা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে শুরু হয় ৩৪০ কোটি টাকা ব্যয়ের এ টার্মিনালের নির্মাণকাজ। এক দফা মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি বছরের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। এ পর্যন্ত ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। 

ওই সূত্রে আরও জানা যায়, ভারতের চব্বিশ পরগনায় অবস্থিত পেট্রাপোল বন্দর আধুনিকায়নে ২০১৬ সালে সীমান্ত ঘেঁষে মাত্র ১০ মিটার জায়গা ছেড়ে ৪২ একর জমিতে চেকপোস্ট নির্মাণকাজ শেষ করে ভারত। আলোচনা সাপেক্ষে একই নিয়মে জায়গা ছেড়ে বাংলাদেশ অংশে ২০২২ সালে বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দর সম্প্রসারণে ৪১ একর জমিতে কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনালের নির্মাণ শুরু করে। তবে গত ২৫ জানুয়ারি ১৬ একর জায়গায় ইয়ার্ড নির্মাণের চলমান কাজে বিএসএফ বাধা দেয়। ১৫০ গজ জায়গা ছাড়তে বলে হুমকি দিয়ে কাজ বন্ধ এবং নির্মাণসামগ্রী আটকে দেয় তারা। তখন ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ ১৫০ গজ জায়গা ছেড়ে লাল পতাকা উড়িয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। বর্তমানে এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে ভীতি এবং সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, ওই ১৫০ গজের মধ্যে বিএসএফ কাউকে যেতে দিচ্ছে না। বর্তমানে তাঁরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। 

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এসএসআর গ্রুপের প্রজেক্ট ম্যানেজার মন্নু বিশ্বাস জানান, বিএসএফের বাধায় কাজ বন্ধ আছে। এতে নির্দিষ্ট সময়ে উন্নয়নকাজ শেষ করা নিয়ে শঙ্কার মধ্যে আছেন তাঁরা। 

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল বলেন, ‘ভারত ১০ মিটারের মধ্যে তাদের নির্মাণকাজ অবাধে সম্পূর্ণ করেছে। তাহলে বাংলাদেশকে কেন ১৫০ গজ ছাড়তে হবে? বন্দরের উন্নয়নকাজের স্বার্থে চলমান সংকট নিরসনের আশা করছি, ভারত অতীতের মতো তার বন্ধুত্বের পরিচয় দেবে।’ 

এ বিষয়ে বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘বিএসএফের বাধায় একাংশের কাজ বন্ধ আছে। আইনি প্রক্রিয়ায় যাতে নির্মাণকাজ শেষ করতে পারি, সে জন্য বিজিবিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।’ 


প্যা/ভ/ম